এক প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যু রহস্যের কিনারা করার দাবীতে তীব্রতর হল শিক্ষক ও ভোটকর্মীদের আন্দোলন। বুধবার এই দাবীতে ভোট কর্মীরা ঘড়ি মোড়ে দীর্ঘক্ষন অবরোধের পরেও আন্দোলনকারীদের দাবি মতো উপযুক্ত আশ্বাস দিতে ঘটনাস্থলে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার না আসায় বড়সড় আন্দলনে নামল শিক্ষক ও ভোটকর্মীরা। প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে তাঁরা শিলিগুড়ি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়। এই মুহুর্তে ভোটকর্মীরা নিহত প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে শিলিগুড়ি মোড়ে ৩৪ নাম্বার জাতীয় ও রায়গঞ্জ - বালুঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। চলছে জাতীয় সড়ক অবরোধ। অথচ এখনও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের।
উল্লেখ্য বুধবার সকাল থেকে রায়গঞ্জ শহরের ঘড়ি মোড় এলাকায় সহকর্মী প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভোটকর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,, অতিরিক্ত জেলা শাসক, মহকুমা শাসক প্রশাসনিক আধিকারিকরা বারবার বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। উল্টে অবরোধকারীদের বোঝাতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হন মহকুমা শাসক টি এন শেরপা। ধাক্কা ধাক্কি, কিল, ঘুষি সহ এসডিওকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা বলে অভিযোগ ওঠে। এখানেই ক্ষান্ত না হয়ে এসডিওর গায়ে ও মাথায় জল ঢেলে দেন ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীরা। তাদের দাবি যতক্ষন না জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার তাদের আশ্বাস দিবেন না তাদের আন্দোলন চলবে। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন রাজকুমার বাবুর স্ত্রী। কিন্তু তাদের অভিযোগের রিসিভ কপি দিলেও তাদের কেশ নাম্বার দেয়নি পুলিশ। জিআরপি কেশ নাম্বার দেয়নি তাই তাদের কেশ নাম্বার দিতে রাত হবে। এর সাথে আগামীকাল ভোট গননা যার ফলে ভোট কর্মীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। ভোট গননা করতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েম করার দাবীতে অব্রধ শুরু করেন তারা। এদিনের এই অবরোধের জেরে বহু দূর পাল্লার গাড়ি আটকে পড়ে। ঘটনা স্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিনের এই ঘটনায় এক আন্দোলনকারী জানান, তারা প্রিসাইডিং আফিসারের রহস্য জনক মৃত্যুতে বেজায় ক্ষুদ্ধ। তাদের নিরাপত্তার কোন গ্যারেন্টি নেই। যার কারনে এদিন তারা এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবীতে পথ অবরোধে নেমেছেন। দাবী একটায়, জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার এসে তাদের আশ্বাস দিক।
